মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৪

তরুণ প্রজন্ম জানতে চায় দালাল আইনে ফাঁসীর আদেশ হওয়া সেই ২২ জন কে ???



স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা মানবতা বিরুধী অপরাধ করেছিল শেখ মজিবুর রহমান দালাল আইন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে এসেছিলেন,সেই আইনে মোট লক্ষাধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল,এর মধ্যে যাচাই- বাচাই করে ৩৫০০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ১১০০০ হাজার জনের বিরুদ্ধে সার্জশীট দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২২ জন কে ফাঁসি, ৬৮ জনকে যাবজ্জীবন, ৭৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে ছিলেন আদালত।
তাদের বিরুদ্ধে খুন,ধর্ষণ,অগ্নিসংযোগের মত অভিযোগ আমলে এনেছিলেন।
বাকী ২৪০০০ জনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায়, আদালত তাদেরকে খালাশ প্রদান করেন।

এই সব তথ্য আওয়ামী খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম একটি টকশোতে উপস্থাপন করেন।

এখন জাতি আপনাদের কাছে জানতে চায় ফাঁসীর আদেশ হওয়া সেই ২২ জন কারা ছিল ????
কোন্ ৬৮ জনকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছিল ????
বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রাপ্ত ৭৫২ জন কারা ছিল????
সেখানে কি বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর এখন যাদের বিচার করা হচ্ছে তাদের কারো নাম ছিল?

যদি না থেকে থাকে, তাহলে কাদেরকে খুশি করার জন্য আজকে নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
বিষয়টা পরিষ্কার করবেন কি?

প্রিয় বন্ধুরা

আসসালামুআলাইকুম , 
কেমন আছেন ? জানি আপনারা হয়ত খুব ভাল নেই । কারন বাংলাদেশে বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান শক্তি বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মূল নেতৃবৃন্দের বিষয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আওয়ামীলীগ গৃহপালিত ট্রাইবুনালকে দিয়ে জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে বিরোধী জোটকে নেতৃত্বশুন্য করার পায়তারার অংশ হিসাবে এক এক করে ফাঁসির আদেশ দিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশের ইতিহাসে কলংক লেপনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে তারা । তাদের প্রয়োজন ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করা । তারা ইতিমধ্যে বুঝে ফেলেছে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার পথে একমাত্র বাধা বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ,সতরাং তাদেরকে নিঃশেষ করে দিতে পারলে আর ঠেকায় কে? এবং তারা এটাও ধরে নিয়েছে যে ,নেতৃবৃন্দদের হত্যা করে পেলতে পারলেই জামায়াতের শক্তিতে ভাটা পড়বে ,কর্মীবাহিনী হতাশ হয়ে যাবে ,কেউ আর আন্দোলনে সাহস পাবেনা , আর জামায়াত যদি আন্দোলন না করতে পারে তাহলে বাংলাদেশে আর কোন রাজনৈতিক শক্তি নেই যারা সরকারের পৃষ্ঠপোষক বাহীনির গুলির মূখে রাজপথে আন্দোলন করবে । সুতরাং সরকারের টার্গেট এক ঢিলে সকল পাখি শেষ । সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তারা । মাঝে মাঝে নিজে নিজে হাসি ,হায়রে আওয়ামীলীগ ! তোমাদের জন্য দুঃখঃ হয় ,এই জন্য যে । যে কেউ কবর জগতে চলে যাওয়ার আগে তার একটা প্রজন্ম রেখে যেতে চায় ,আমার কাছে মনে হয় আওয়ামীলীগ সেটা চায় না । তারা জামায়াত কে জাসদের মত সংগঠন ধরে নিয়েছে । তারা ভাবছে যে জাসদকে স্বাধীনতা উত্তর সবচেয়ে বেশী নির্যাতন করেছি ,হত্যা করেছি ,খুন করেছি, গুম করেছি , সেই জাসদ যখন থালা নিয়ে রাস্তায় বসার অবস্থায় টিকে থাকার জন্য আমাদের সাথে এসে যোগ দিয়েছে ,জামায়াতকেও যদি নেতৃত্ব শুন্য করে দেয়া যায় তারাও এক সময় শক্তি শেষ হতে হতে হয়ত আমাদেরকেই শেষ ভরসা মনে করবে ,তখন বাংলাদেশ শুধু আওয়ামীলীগেরই থাকবে । হায়রে আওয়ামী স্বপ্ন !!!!

চলবে ------