মনির আহমেদ
‘আমি বাইরের কাচারি ঘরে শুয়েছিলাম। খুব ঘুমও আসছিল। সারাদিনের বিভিন্ন কাজ শেষে ক্লান্ত। রাত তখন আনুমানিক ৩টা। শরীরের পাশে ঠা-া কিছু অনুভব করলাম। ঠা-া জিনিসটার পাশে একজন মানুষের অস্তিত্বও টের পেলাম। একটু সাহস করে জিজ্ঞেস করলাম- কে? উত্তর এলো- আমি তোমার বন্ধু। কণ্ঠ শুনে কুদ্দুসকে চিনতে অসুবিধা হয়নি। আমার বাল্য বন্ধু। তার সাথে একটি বন্দুক, ঠা-া জিনিসটা। রাজাকারদের তাড়া খেয়ে কুদ্দুস কোন রকম পালিয়ে এসেছে। রাত ২.৩০টা থেকে আমার পাশে শুয়ে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে ।’
মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতে গিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বাবা। তখন আমি চতুর্থ কি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ি। জিজ্ঞেস করলাম, বাবা তুমি মুক্তি যুদ্ধে গিয়েছিলে? তাঁর সহজ উত্তর, নারে বাবা আমি যেতে পারিনি। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সহযোগিতা করেছিলাম। বাবার কাছ থেকে শুনলাম কেন ও কীভাবে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিলেন। অনেক কথার ফাঁকে বললেন, অধিকার আদায়ের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র চেয়েছিলাম।
দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য- অধিকার অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ আজো বঞ্চিত ভাতের অধিকার থেকে, বঞ্চিত বাঁচার অধিকার থেকে। কোথায় স্বাধীনতা? কোথায় অধিকার? একজন সুস্থ্য মানুষ বাসা থেকে বের হওয়ার পর সে জানে না বাসায় আবার ফিরতে পারবে কিনা। নিজ বাসায় ঘুমানোর পর জানেনা তার বাসায় সে নিরাপদ কিনা।
এমন কিছু ঘটনার বর্ণনা পড়ছিলাম গত ৩১ আগষ্টের প্রথম আলো, মানবজমিন, সমকালসহ কয়েকটি পত্রিকায়। ব্যস্ততা থাকায় গত ৩০ আগষ্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস ২০১৪ উপলক্ষে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিতে পারিনি। তাই একটু বেশী মনোযোগী হয়েই পত্রিকা পড়ছিলাম। নিজের অজান্তেই কখন যে চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়া শুরু হয়েছিল বুঝতেই পারিনি। পড়া যত সামনের দিকে এগুচ্ছিল, মন তত ডুকরে কেঁদে উঠছিল। কান্না চাপা দিয়ে রাখতে পারছিলাম না। মানুষ হিসেবে নিজেকে অসহায়, জড় পদার্থ মনে হচ্ছিল। পত্রিকা থেকে পাঠকদের জন্য কিছু অংশ তুলে ধরছি।
‘আমাদের প্রত্যেকটা সকাল হয় অপেক্ষা নিয়ে। এই বুঝি আরিয়ানের বাবার একটা খবর পাব। কিন্তু দিন শেষে কিছুই হয় না। আমরা শুধু ওকে ফেরত চাই।’
মুখে ওড়নাচাপা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলছিলেন শাম্মী সুলতানা। তাঁর স্বামী রাজধানীর ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি খালিদ হাসান (সোহেল) গত বছরের ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটক থেকে নিখোঁজ হন। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।
শাম্মী সুলতানা যখন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন তাঁর ছয় বছরের ছেলে সাদমান শিহাব আরিয়ান দর্শক সারিতে ভীড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বুকের কাছে ধরে আছে বাবার ছবি। ছবিতে আরিয়নের বাবার হাসি হাসি মুখ। কিন্তু আরিয়নের মুখ অন্ধকার, মলিন। শিশুটিকে জিজ্ঞেস করতেই বললো, ছবির লোকটা তার বাবা, যাঁকে আরিয়ান অনেক দিন ধরেই খুঁজে পাচ্ছে না। মা শাম্মী সুলতানার সঙ্গে এই ছবি নিয়ে নয় মাস ধরে বাবাকে খুঁজে ফিরছে আরিয়ান। সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম-খুনের শিকার হওয়া ৯৭ পরিবারের মধ্যে ২২ পরিবারের সদস্যরা নিজেদের করুণ কাহিনী তুলে ধরেন। প্রতিটি ঘটনাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ করা হয়। যদিও গুম-খুনের অভিযোগগুলো বরাবরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অস্বীকার করে আসছিলেন।
গত বছরের ২৭শে নভেম্বর রাতে কুমিল্লা থেকে গুম হওয়া সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম হীরুর মেয়ে মাশরুফা ইসলাম বলেন, ‘আমার আব্বু ফ্রিডম ফাইটার ছিল। উনি কি দেশ স্বাধীন করেছে এই জন্য যে, এই দেশে তাকে গুম করা হবে? নয় মাস ধরে আমরা বাবাহারা হয়ে আছি। আমার বাবা হার্ট ও ডায়াবেটিসের রোগী। জানি না তার এখন কী অবস্থা। আমার আব্বুকে মেরে ফেলছে কিনা তাও জানি না। কেস করেছি তারও কোন আপডেট নাই।’
মাশরুফা বলেন, ‘বাবা যেখানেই থাকতো প্রতিদিন হয় আমাকে ফোন দিতো অথবা আমি বাবাকে ফোন দিতাম। নয় মাস চার দিন হলো আমাকে কেউ ফোন দেয় না। বলে না, মা তুমি কী করছো?’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তো তার পিতাকে হারিয়েছেন, স্বজন হারিয়েছেন। তিনি স্বজন হারানোর বেদনা বোঝেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি জানাই আমার বাবাকে যেন ফিরিয়ে দেয়া হয়।’ বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
মাশরুফার পিতা সাইফুল ইসলাম হীরুর সঙ্গে গুম হয়েছেন হুমায়ূন কবীর পারভেজ। তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘আমি আমার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছি। ঈদের সময় আমার মেয়ে বলেছে, আমার তো বাবা নেই, আমি একটার বেশি জামা নেবো না। এ কথা শুনে আমি হু হু করে কেঁদেছি। আমার বয়স্ক শ্বশুর-শাশুড়ি আমার কাছে তাদের ছেলের খবর জানতে চান। আমি কোন উত্তর দিতে পারি না।’
শাহনাজ বলেন, ‘আমার স্বামীর কিছু লোন ছিল আমরা তা শোধ করতে পারছি না। স্বামীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা ছিল তা-ও তুলতে পারছি না। তার স্বাক্ষর ছাড়া ব্যাংক টাকা দেয় না। এখন তাহলে আমরা কোথায় যাবো? কীভাবে বাঁচবো?
তিনি বলেন, ‘নয় মাস ধরে কাঁদছি। এখন আমাদের কান্নাও হারিয়ে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে গেছে। এখন আর কাঁদতেও পারি না।’
শাহনাজ বলেন, ‘তবু আমি বিশ্বাস করি, আমার স্বামী বেঁচে আছে। সে র্যাবের কাছেই আছে। আমার তিন ছেলেমেয়ে এতিম করবেন না।’ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘উনিও (প্রধানমন্ত্রী) তো আমাদের মতো স্বজনহারা। উনি কি আমাদের মতো স্বজনহারাদের কান্না শুনতে পান না?’
প্রায় সাড়ে চার বছর আগে গুম হওয়া বিএনপি নেতা ও ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলমের মেয়ে মাসুদা আক্তার বলেন, ‘একটা মানুষ মরে যাওয়া স্বাভাবিক। খুন হলেও তার লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু বাবাকে সাড়ে চার বছর ধরে গুম করে রাখা হয়েছে। আমার বাবাকে আমি ফেরত চাই।’ তিনি বলেন, ‘বাবা ছাড়া আমরা কেমন আছি, কেউ খোঁজ নেয় না আমাদের। প্রতিবছর ২৫শে জুন আসলে বিএনপির পক্ষ থেকে ফোন করে যেতে বলে। আর কিছু না। এই দেশ কি এভাবেই চলতে থাকবে?’
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া ফেরার সময় গুম হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আল মুকাদ্দাসের পিতা মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘৩০ মাস ধরে ছেলের জন্য অপেক্ষা করে আছি। কিন্তু ছেলে ফিরে আসে না। আমার স্ত্রী মাঝে মধ্যে স্বপ্ন দেখে- মুকাদ্দাস বাড়িতে এসেছে। সে কান্নাকাটি করে। ছেলের বন্ধুরা আসে। আড়াই বছরের প্রতিটা দিন আমাদের চোখের জল ফেলে কাটাতে হয়েছে।’
‘আমার বাবা একজন চিকিৎসক ছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রেও চিকিৎসকেরা বিশেষ সুবিধা পান। কিন্তু আমার বাবাকে হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটা তো কোনো যুদ্ধক্ষেত্র ছিল না। তার পরও কেন এ ঘটনা ঘটল।’ দেশের মানুষের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছেন লক্ষ্মীপুরে র্যাবের হাতে নিহত চিকিৎসক ফয়েজ আহমেদের মেয়ে উজমা কাওসার।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে র্যাবের হাতে নিহত হন জামায়াতের জেলা নায়েবে আমির ফয়েজ আহমেদ। তাঁকে হাত-পা বেঁধে বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে নিচে এসে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। ওই ঘটনার দুদিন পর পরিবারের সব সদস্য লক্ষ্মীপুর ছেড়ে যান। এরপর এক রকম আত্মগোপনে ছিল পরিবারটি। এই প্রথম গণমাধ্যম ও অন্যদের সামনে এসেছেন পরিবারের একজন সদস্য।
উজমা বলেন, ‘লে. কর্নেল তারেক সাঈদের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা তাঁদের বাসায় হামলা চালান। র্যাব আসার পর ফয়েজ আহমদ তাঁর ছেলেকে ছাদে পালিয়ে যেতে বলেন। তাঁর ধারণা ছিল, ছেলের ওপর আক্রমণ হতে পারে। তিনি ভেবেছিলেন, র্যাব তাঁকে কিছুই করবে না। কিন্তু র্যাব সদস্যরা ভেতরে ঢুকে ফয়েজ আহমেদকে টেনেহিঁচড়ে ছাদে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। আগে থেকেই ছাদের কার্নিশে লুকিয়ে থাকা ছেলে বাবার ওপর নির্যাতনের দৃশ্য দেখতে বাধ্য হয়েছেন।’
উজমা বলেন, ‘আমরা জানি না বাবার অপরাধ কী ছিল। আমাদের কী অপরাধ ছিল? শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যই একটি পরিবারকে এত বড় মাশুল দিতে হচ্ছে!’
তিনি জানান, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাঁরা এখনো লক্ষ্মীপুরে থাকতে পারছেন না। বাবার মরদেহ পাওয়ার বিষয়টিকে সৌভাগ্য হিসেবে মন্তব্য করে উজমা বলেন, ‘দেশে অনেকের স্বজনেরা এখনো গুম হয়ে আছেন। অনেকেই জানেন না তাঁদের স্বজনেরা কী অবস্থায় আছেন, কোথায় আছেন। সে হিসেবে তাঁদের চেয়ে আমরা ভাগ্যবান, অন্তত আমরা আমাদের বাবার মরদেহটা পেয়েছি।’
উজমা বলেন, ‘আর কোনো সন্তানকে যেন চোখের পানি ফেলতে না হয়, কোনো স্ত্রীকে যেন স্বজন হারিয়ে অনিশ্চিত জীবনে যেতে না হয়।’
মঞ্চে তখন রেহানা বানু। বলছিলেন, ‘মা সারাটা দিন দরজার দিকে তাকিয়ে বসে থাকেন। ভাবেন, সেলিম রেজা (পিন্টু) এসে বলবে, আমি এসে গেছি মা! দরজা খোলো।’
ঢাকার পল্লবী থেকে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সেলিমকে তুলে নেওয়া হয়। তিনি সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি। রেহান বানু তাঁর বোন।
প্রতিবেদনে এসেছে, রেহানা বানুর বক্তব্য শুনে দর্শকের সারিতে বসা নিলুফার বেগম আর চুপ করে থাকতে পারলেন না। ছেলে তানভীরের জন্য হু হু করে কেঁদে উঠেন।
২০১১ সালে নয়া পল্টন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে উঠিয়ে নেয়া সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা শামীমের স্ত্রী ঝর্ণা খানম বলেন, ‘রাজনীতি করার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। থানায় জিডি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছি। আমার সন্তানের বয়স এখন দশ বছর। ছেলে জানতে চায় তার বাবাকে মেরে ফেলেছে কিনা? আমি কিছু জবাব দিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় রাষ্ট্রের দায়। রাষ্ট্র কর্তৃক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের একই দৃশ্য। মা সন্তানের জন্য, স্ত্রী স্বামীর জন্য, বোন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা জানতে পারছে না তাদের স্বজনদের ভাগ্যে আসলে কী হয়েছে।’
এতো ঘটনার পরও আমাদের দেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্তা ব্যাক্তিরা মাঝে মাঝে বক্তব্য দেন, এসব কিছু না, দুএকটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। খোদ সরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামানও মাওলানা ফারুকী হত্যা ও মগবাজারের ট্রিপল মার্ডার নিয়ে একই বক্তব্য দিয়েছেন, যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এতো ঘটনা সরকারের চোখ ফাকি দিয়ে ঘটার কি সুযোগ আছে ? যদি সুযোগ থাকে, তা হলে এই সরকারের কি এ দেশে প্রয়োজন আছে? তারা কি দেশ চালানোর অধিকার রাখে?
আমরা তো এই স্বাধীনতা চাইনি। আমরা তো স্বাধীন দেশে নাক ডেকে বাড়িতে ঘুমাবার নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম ভাত এবং বেঁচে থাকার অধীকার। আমরা চেয়েছিলাম এ দেশের নিরাপত্তা বাহিনী আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। গুম অথবা খুনের দায়িত্ব তো তাদের নয়! আমরা তো হানাহানির বাংলাদেশ চাইনি। ক্ষমতার মোহে পারিবারিক, সামাজিক বন্ধন ধ্বংসের বাংলাদেশ চাইনি। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম হানাদার বাহিনী হাত থেকে মুক্ত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি স্বাধীন, স্বার্বভৌম সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার। যেখানে ভাই ভাইকে তুচছ-তাচ্ছিল্য করবে না। পিতা তার সন্তান ক হত্যা করবে না। ঐশির মত সন্তানরা তার পিতা-মাতাকে হত্যা করবে না। বরং শ্রদ্ধা-ভালবাসা দিয়ে জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আগলে রাখবে। ক্ষমতার জন্য একে ওপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে না। হায়েনার মত রক্তই শুধু কারো চাহিদা থাকবে না।
আমরা চাই যে সকল হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে, তার সুষ্ঠ বিচার হোক। প্রশাসনের নিকট কোন ব্যাক্তি গুম থাকলে বা প্রশাসনের উদ্ধার করার সুযোগ থাকলে তাদেরকে অতি দ্রুত উদ্ধারের ব্যাবস্থা করা হোক। গুম, খুন, হত্যার রাজনীতি নয়। আমাদের রাজনীতি হোক মানুষের কল্যানে, দেশ ও জাতীর কল্যানে। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে রাজনীতি নয়, দেশের স¦ার্থে হোক আমাদের রাজনীতি।
লেখক: সাংবাদিক ও লখেক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন